Azam Uddin, পরিচালক,
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য...
শ্রেণীভুক্ত কৃষক | |||
---|---|---|---|
অশ্রেণীভুক্ত | ৫৬৯০ জন | ||
ভূমিহীন | ২ জন | ||
প্রান্তিক | ১১৮৩ জন | ||
ক্ষুদ্র | ১৬৯৫ জন | ||
মাঝারী | ৪৬০ জন | ||
বড় | ৪৫ জন |
সাধারণ তথ্য | |||
---|---|---|---|
পৌরসভা | ১ টি | ||
ইউনিয়ন | ৬ টি | ||
ওয়ার্ড | ৬৩ টি | ||
ব্লক | ১৯ টি | ||
মৌজা | ১০৫ টি | ||
গ্রাম | ১২২ টি | ||
বাৎসরিক মোট বৃষ্টিপাত | ৯২৪ মি.মি. |
মোট আয়তন | ১৯৯৪০ হেক্টর |
শহর অঞ্চলের আয়তন | ১১৫১ হেক্টর |
গ্রাম এলাকার আয়তন | ১৮৭৮৯ হেক্টর |
কাঁচা ও পাকা রাস্তার আয়তন | ৪০০ হেক্টর |
কৃষি সম্পর্কিত অবকাঠামোর আয়তন | ০ হেক্টর |
শিল্প এলাকার আয়তন | ০ হেক্টর |
অন্যান্য স্থাপনার আয়তন | ০ হেক্টর |
জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য | |||
---|---|---|---|
মোট জনসংখ্যা | ২২৯০০০ জন | ||
পুরুষ জনসংখ্যা | ১১৫০০০ জন | ||
মহিলা জনসংখ্যা | ১১৪০০০ জন | ||
কৃষক পরিবার | ৩৭৫৯৫ টি |
খাদ্য বিষয়ক তথ্য | |||
---|---|---|---|
মোট খাদ্য উৎপাদন এর পরিমাণ | ৫৮৫৪৪ মে. টন | ||
মোট খাদ্য চাহিদার পরিমাণ | ৩৯৬৯০ মে. টন | ||
মোট খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ | ০ মে. টন | ||
মোট খাদ্য উদ্বৃত্ত এর পরিমাণ | ১৮৮৫৪ মে. টন | ||
বীজ, গোখাদ্য ও অন্যান্য অপচয় এর মোট পরিমাণ | ০ মে. টন | ||
শস্য নিবিড়তার শতকরা হার | ২৩৮ % |
অবকাঠামোর তথ্য | |||
---|---|---|---|
খাদ্য গুদাম এর সংখ্যা | ২ টি | ||
কোল্ড স্টোরেজ এর সংখ্যা | ০ টি | ||
অনান্য কৃষি স্থাপনার সংখ্যা | ০ টি | ||
ইট ভাটার সংখ্যা | ০ টি |
প্রাকৃতিক ও কৃষি বৈচিত্র্য | |||
---|---|---|---|
নদী ও খাল এর সংখ্যা | ২ টি | ||
হাওড় এর সংখ্যা | ০ টি | ||
বিল/বাওড় এর সংখ্যা | ৩ টি | ||
স্থায়ী জলাশয় এর সংখ্যা | ০ টি | ||
নার্সারি এর সংখ্যা | ১১ টি | ||
স্থায়ী ফলবাগান এর সংখ্যা | ০ টি |
ভূমিরূপ অনুযায়ী জমির পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
এ.ই.জেড. নম্বর | ১০, ১২ | ||
নদী/হাওড়/বিল/বাওড় এর মোট আয়তন | ০ হেক্টর | ||
স্থায়ী জলাশয় এর মোট আয়তন | ৯৪০ হেক্টর | ||
সারা বছর/সাময়িক জলাবদ্ধ এলাকার মোট আয়তন | ৯০ হেক্টর | ||
উঁচু জমির মোট আয়তন | ২৩৭৭ হেক্টর | ||
মাঝারী উঁচু জমির মোট আয়তন | ৫৬২০ হেক্টর | ||
মাঝারী নিচু জমির মোট আয়তন | ৪১৫৮ হেক্টর | ||
নিচু জমির মোট আয়তন | ২২৩৯ হেক্টর | ||
অতি নিচু জমির মোট আয়তন | ১৫০০ হেক্টর |
মাটির গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জমির পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
এঁটেল মাটি-জমির মোট আয়তন | ১১৪১০ হেক্টর | ||
এঁটেল দোআঁশ মাটি-জমির মোট আয়তন | ২৩২০ হেক্টর | ||
দোআঁশ মাটি-জমির মোট আয়তন | ২১৬৪ হেক্টর | ||
বেলে দোআঁশ মাটি-জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর | ||
বেলে মাটি-জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর |
উদ্যান ফসলের জমির পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
স্থায়ী ফলবাগান এর মোট আয়তন | ৯৫০ হেক্টর | ||
বনজ বৃক্ষের আচ্ছাদন এর মোট আয়তন | ০ হেক্টর | ||
ঔষধী বৃক্ষ আবৃত জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর | ||
অন্যান্য বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদিত জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর |
ফসল উৎপাদন অনুযায়ী জমির পরিমাণ | |||
---|---|---|---|
এক ফসলী জমির মোট আয়তন | ১২১৮ হেক্টর | ||
দুই ফসলী জমির মোট আয়তন | ৭৭৪৯ হেক্টর | ||
তিন ফসলী জমির মোট আয়তন | ৬৫৯৭ হেক্টর | ||
তিন এর অধিক ফসলী জমির মোট আয়তন | ৩৩০ হেক্টর | ||
আবাদযোগ্য কিন্তু স্থায়ীভাবে পতিত জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর | ||
অনাবাদী জমির মোট আয়তন | ০ হেক্টর |
শস্য বিন্যাস | জমির আয়তন ( হেক্টর) | জমির শতকরা হার |
---|---|---|
১। বোরো-পতিত-পতিত | ১০০০.০০ | ৬.২৯ % |
২। বোরো-বোনাআমন | ১৪৩০.০০ | ৯.০০ % |
৩। (সরিষা-বোরো)-পতিত-পতিত | ১০৫০.০০ | ৬.৬১ % |
৪। রসুন-মুগ-রোপাআমন | ১৬৫০.০০ | ১০.৩৮ % |
৫। রসুন-বোনাআমন | ১৯০০.০০ | ১১.৯৫ % |
৬। রসুন-পাট-পতিত | ১৩৫৩.০০ | ৮.৫১ % |
৭। গম-রোপাআউশ-রোপাআমন | ১০০০.০০ | ৬.২৯ % |
৮। রসুন-পাট-রোপাআমন | ৮০০.০০ | ৫.০৩ % |
৯। গম-পাট-পতিত | ৭৫০.০০ | ৪.৭২ % |
১০। অন্যান্য | ৪৯৬১.০০ | ৩১.২২ % |
মৌসুমের নাম | ফসলের নাম | ফসলের জাত | আওতাধীন জমির আয়তন |
---|---|---|---|
১। রবি | রসুন | ইটালী | ৭৫৫০.০০ |
২। রবি | রসুন | পাটনাই | ১৫০.০০ |
৩। রবি | সরিষা | বারি সরিষা-১৪ | ১২০.০০ |
৪। রবি | সরিষা | টরি ৭ | ১৩৭০.০০ |
৫। রবি | সরিষা | বারি মসুর-৩ | ৭০.০০ |
৬। রবি | মসুর | বারি মসুর-৪ | ৪১০০.০০ |
৭। রবি | মসুর | বারি মসুর-৫ | ২১০.০০ |
৮। রবি | মসুর | বারি মসুর-৬ | ২৪০.০০ |
৯। রবি | মসুর | ২৯০.০০ | |
১০। রবি | বারি গম ২৫ | ১৫২০.০০ | |
১১। রবি | ২১০.০০ | ||
১২। রবি | ১৮০.০০ | ||
১৩। রবি | ভুট্টা | জিরাশাইল | ৮৫০.০০ |
১৪। বোরো | ধান | ব্রি ধান২৯ | ১৭৬২.০০ |
১৫। বোরো | ধান | ১৭৫৫.০০ | |
১৬। বোরো | ধান | ব্রি ধান৫৮ | ১৫০.০০ |
১৭। বোরো | ধান | হীরা ২ | ৭০.০০ |
১৮। বোরো | ধান | হীরা ৬ | ৭৫.০০ |
১৯। বোরো | ধান | বিআর২৬ | ৭৫.০০ |
২০। আউস | ধান | ব্রি ধান২৮ | ১৯০.০০ |
২১। আউস | ধান | ব্রি ধান৪৮ | ১৪০.০০ |
২২। আউস | ধান | ৬৯০.০০ | |
২৩। আউস | ধান | জিরাশাইল | ৯০.০০ |
২৪। আউস | ধান | বারি হলুদ-২ | ২৫৫.০০ |
২৫। খারিফ-১ | হলুদ | পাটনাই | ৭৫.০০ |
২৬। খারিফ-১ | হলুদ | বারিমুগ-৫ | ৫৫.০০ |
২৭। খারিফ-১ | মুগ | বারিমুগ-৬ | ৩৬০.০০ |
২৮। খারিফ-১ | মুগ | বারিমুগ-৭ | ৯৫০.০০ |
২৯। খারিফ-১ | মুগ | বারিমুগ-৮ | ২৭০.০০ |
৩০। খারিফ-১ | মুগ | বিনামুগ-৫ | ১৮০.০০ |
৩১। খারিফ-১ | মুগ | বিনামুগ-৪ | ২৩০.০০ |
৩২। খারিফ-১ | মুগ | ২১০.০০ | |
৩৩। খারিফ-১ | তিল | ২১০.০০ | |
৩৪। খারিফ-১ | ভুট্টা | জেআরও-524 | ৫০.০০ |
৩৫। খারিফ-১ | ও-৯৮৯৭ | ৩৩০০.০০ | |
৩৬। খারিফ-১ | ব্রি ধান২৯ | ২০০.০০ | |
৩৭। আমন | ধান | ব্রি ধান৩৪ | ১০৫.০০ |
৩৮। আমন | ধান | ব্রি ধান ৩৯ | ১৫.০০ |
৩৯। আমন | ধান | ব্রি ধান৪৯ | ২৮৬৫.০০ |
৪০। আমন | ধান | ব্রি ধান৫৬ | ১০.০০ |
৪১। আমন | ধান | ব্রি ধান৬২ | ১৫.০০ |
৪২। আমন | ধান | বিনা ধান- ৭ | ৪০.০০ |
৪৩। আমন | ধান | স্বর্ণা | ৩৫০.০০ |
৪৪। আমন | ধান | কালিজিরা | ১৮০০.০০ |
৪৫। আমন | ধান | দুধস্বর | ৩০.০০ |
৪৬। আমন | ধান | দলকচুু | ২২৫.০০ |
৪৭। আমন | ধান | ৪৫.০০ |
উপকরন নাম | উপকরন শ্রেণী | সংখ্যা | জমির-আয়তন |
---|
প্রকল্পের নাম | অবস্থা |
---|---|
১। উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প | সমাপ্ত |
২। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারী নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প (ডিএই অংশ) | সমাপ্ত |
৩। "চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)" | চলমান |
৪। "চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প" | চলমান |
৫। রাজস্ব খাত | চলমান |
কৃষি, মাটি ও আবহাওয়া সম্পর্কে বিশেষ তথ্য | |||
---|---|---|---|
কৃষি নির্ভর গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষিতে খুবই বৈচিত্রপূর্ণ। মোট ১৫৮৯৪ হেক্টর আবাদি জমিতে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলে। বৈচিত্রপূর্ণ ফসল উৎপাদনের মধ্যে রবি মৌসুমে রয়েছে রসুন, বোরো ধান, ভূট্টা, গম, মসুর, সরিষা, পেঁয়াজ, তরমুজ, বাঙ্গি, কালোজিরা, মেথি, ইত্যাদি ও খরিফ-১ মৌসুমে রয়েছে রোপা আউশ, বোনা আমন, মুগ, পাট, ইত্যাদি এবং খরিফ-২ মৌসুমে রয়েছে রোপা আমন, মাসকলাই, ইত্যাদি। উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। তার মধ্যে রয়েছে আম, লিচু, পেঁয়ারা, কলা, কুল, কাঁঠাল, ইত্যাদি। সবজি উৎপাদনেও গুরুদাসপুর উপজেলা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে আলু, বেগুন, শিম, করলা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, পটল, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাঁচা কলা, পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, ইত্যাদি। উপজেলায় দুই ফসলি, তিন ফসলী এমনকি তিন ফসলের অধিক জমির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈচিত্রপূর্ণ এ উপজেলার শস্যের নিবিড়তা প্রায় ২৩৮%। গুরুদাসপুর উপজেলায় সাধারণত তিন ধরণের মাটির আধিক্য দেখা যায়। এঁটেল, এঁটেল দো-আঁশ থেকে বেঁলে দো-আঁশ মাটি এ উপজেলার কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলনবিল ও নদী বিধৌত গুরুদাসপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে বিল অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১২ অর্থ্যাৎ উঁচ্চ গঙ্গা পস্নাবন ভূমির অর্ন্তগত। এছাড়া অন্যান্য এলাকা কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১০ অর্থ্যাৎ সক্রিয় গঙ্গা পস্নাবন ভূমির অর্ন্তগত। গুরুদাসপুর উপজেলার অবস্থান ২৪°১৭³ ও ২৪°২৬³ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৪³ ও ২৪°২০³ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। ক্রান্তীয় মৌসুমী বায়ুর অন্তর্গত এই উপজেলায় সাধারণত তিনটি মৌসুম জোড়ালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। বর্ষা মৌসুম সাধারণত জুন মাস হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। শীতকাল শুরু হয় নভেম্বরে এবং শেষ হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। মার্চ ও মে মাস সাধারণত গ্রীষ্মকাল। এই এলাকায় গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শীতকালে প্রায় ১২° সে. এবং গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে প্রায় ৩৮° সে.। বাতাসের গড় আর্দ্রতা প্রায় ৮০%। | |||
কৃষির চ্যালেঞ্জ | |||
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের অভ্যাসের/খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন/নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে বিশ্বের সকল দেশের কৃষিই আজ মহাচ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অত্র উপজেলার কৃষি ব্যবস্থাও এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির বাইরে নয়। গুরুদাসপুরের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জসমূহ উল্লেখ করা হলো: ০১। জলাবদ্ধতা: অপরিকল্পিত পুকুর খনন, অত্যধিক বর্ষা, বন্যা, পানি নিষ্কাশনের অভাব প্রভৃতি কারণে উপজেলার অনেক এলাকা আজ জলাবদ্ধতার সম্মুখীন যা সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষিতে মারাত্বক হুমকিস্বরুপ। ০২। অধিক বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা: প্রাক-বর্ষা মৌসুমে অত্যধিক বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ইত্যাদি কারণে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ হেক্টর আবাদি জমি বন্যা/আগাম বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে যা এই এলাকার কৃষির ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ০৩। ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি: জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অতীতের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে যা উপজেলায় চাষকৃত রবি ফসল বিশেষ করে বোরো ধান, ভূট্টা, মসুর, কলা, তরমুজ, বাঙ্গী ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য বিরাট হুমকিস্বরুপ। ০৪। রোগ-পোকার আক্রমণ: জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে কৃষি জমিতে বিভিন্ন ধরনের রোগ-পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ধানের জমিতে বাদামি গাছ ফড়িং এবং ধান ও গমের জমিতে ব্লাস্টের আক্রমণ এই এলাকার ধান ও গম চাষের ক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ। ০৫। অপরিকল্পিত পুকুর খনন: যত্র-তত্র অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে ফলে ঐ এলাকার সার্বিক কৃষি কার্যক্রম আজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। | |||
কৃষিতে সম্ভাবনা | |||
চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষিতে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উপজেলা। এখানে প্রায় ৩৭৩৯ হেক্টর নিচু জমি রয়েছে যার উল্লেখযোগ্য অংশে বছরে একটি ফসল বিশেষ করে বোরো ধান/ভূট্টা উৎপাদিত হয়। যদি স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট ফসলের জাত এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তাহলে খুব সহজেই এই সকল জমিতে একের অধিক ফসল উপাদন সম্ভব। এছাড়া অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে এসকল স্থানে শুধু রবি মৌসুমে ফসল আবাদ সম্ভব হয়। যদি এসব এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তবে এই সকল জমি বছরব্যাপী ফসল আবাদের আওতায় আসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলায় লিচু, আম, পেঁয়ারা, কুল, লেবু, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল সারাবছরই প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। যদি উন্নত প্রযুক্তি ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করা যায় তাহলে উপজেলায় উৎপাদিত এসব উন্নতমানের ফল বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা সম্ভাবনা তৈরী হবে। উপজেলায় রবি মৌসুমে প্রায় ৭৫০০ হেক্টর রসুন চাষ হয় যার অধিকাংশই স্থানীয়। যদি স্থানীয় জাতের পরিবর্তে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহার করা যায় তাহলে রসুনের ফলন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এছাড়াও উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের উচ্চ মূল্যের ফসল যেমন বিভিন্ন ধরনের ফল, ভূট্টা, ড্রাগন ফল, বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনের সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। | |||
সম্ভাবনাময় ফসল | |||
অর্জন / সাফল্য | |||
পলি মাটি সমৃদ্ধ গুরুদাসপুর একটি ছোট উপজেলা হলেও কৃষি উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ফসলের উৎপাদন এই উপজেলাকে কৃষিতে একটি সমৃদ্ধ উপজেলায় পরিণত করেছে। এই উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় ৬৫,০০০ মে. টন ধান, ৬০,০০০ মে.টন রসুন, ১৫০০ মে. টন সরিষা উৎপাদিত হয়। ফল উৎপাদনেও গুরুদাসপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এখানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৪৭০০ মে. টন আম, ৩৩০০ মে.টন লিচু, ১৮,০০০ মে.টন কলা, ১১২০ মে. টন কুল এবং ১১০০ মে. টন পেঁয়ারা উৎপাদিত হয়। গুরুদাসপুর উপজেলায় সবজি উৎপাদন কৃষিতে আরেকটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এখানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০,০০০ মে. টন বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয় এবং এগুলোর উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলায় নিরাপদ ও বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়ারা উৎপাদিত হয় যাতে শতভাগ ফলের ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। প্রযুক্তিটি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিধায় অন্য ফসল বিশেষ করে আম উৎপাদনেও ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ২০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজির জমি বিশেষ করে বেগুন ও কুমড়া জাতীয় সবজিতে পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া এই প্রযুক্তিটি তরমুজ, পেঁয়ারা এবং আম উৎপাদনেও ব্যবহৃত হচ্ছে। উপজেলায় প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মধু উৎপাদিত হয়। এখানে প্রায় ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয় এবং এখান থেকে প্রায় ২৫০০০ কেজি মধু এবং ১৫০০ হেক্টর সরিষার জমি থেকে প্রায় ১১০০ কেজি মধু প্রতি বছর উৎপাদিত হয়। এছাড়াও উপজেলায় চাষকৃত পেঁয়াজের ফুল ও কালোজিরা থেকেও মধু উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের কোন বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে অত্র উপজেলায় প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের জৈব সার বিশষ করে ধৈঞ্চা, খামারজাত সার এবং ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদিত ব্যবহৃত হয়। |
Md. Razibur Rahaman
উপজেলা কৃষি অফিসার, বাগমারা, রাজশাহী
Md. Razibur Rahaman
উপজেলা কৃষি অফিসার, বাগমারা, রাজশাহী
Md. Razibur Rahaman
উপজেলা কৃষি অফিসার, বাগমারা, রাজশাহী
Md. Razibur Rahaman
উপজেলা কৃষি অফিসার, বাগমারা, রাজশাহী
Md. Razibur Rahaman
উপজেলা কৃষি অফিসার, বাগমারা, রাজশাহী
আম হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। আমকে তাই ফলের রাজা বলা হয়। আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঙ্খিত ফলন পেতে এ সময় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য। কেননা সঠিক...
ঢেমসি যার ইংরেজি নাম Buck Wheat যা একটি দানাদার ফসল। ইহার চাল এবং আটাতে রয়েছে অতিমাত্রায় প্রোটিন, মিনারেল এবং ফাইবার যাহা আমাদের উত্তম খাদ্য। আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,...
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য...
সফলভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের কোন সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীসারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে...
ছাদ বাগানে টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতিড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও...